নিজস্ব প্রতিবেদক, (পাইকগাছা): পাইকগাছায় ৩১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোটি টাকার উর্দ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর বিশেষ ব্যক্তিদের দিকে এ ইঙ্গিত করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। আজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এগিয়ে থাকা নিয়োগ প্রত্যাশী ও তাদের স্বজনরা অর্থের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পাওয়া গেছে। এদিকে নিয়োগ কমিটির সভাপতি-সচিব এ আশংকার কথা উড়িয়ে দিয়ে স্বচ্ছ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তর কাম নৈশ প্রহরী পদের বিপরীতে ২৭৫ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিদ্যালয়গুলো হলো দারুনমল্লিক, সোলাদানা, আমুরকাটা, বেতবুনিয়া, পাটকেলপোতা, খড়িয়া খালপার, মেলেকপুরাইকাটি, বোয়ালিয়া হিতামপুর, তোকিয়া গোলাবাটি, বাঁকা ভবানীপুর, ফতেপুর, ধামরাইল, বাইনবাড়িয়া, তেলিখালী, রাধানগর, মধুখালী, মিলনবীথি, পূর্ব কাটিপাড়া, কলমিবুনিয়া, দেলুটি জিরবুনিয়া, হোগলারচক, খড়িয়া পল্লী মঙ্গল, কড়–লিয়া মোমিন উদ্দীন, হরিদাশকাটি, সলুয়া রামনাথপুর, কাশিমনগর, জিটি চিনেমলা, হানিমুনকিয়া, সোনাতনকাটি, রেজাকপুর কাশিমনগর, হরিদাশকাটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীসহ তাদের স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা তদ্বীর করে আসছেন এবং প্রতি পদে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে জানিয়েছেন। এমন অভিযোগ রয়েছে, একটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষমতাধর বিশেষ ব্যক্তিরা নিয়োগ বাণিজ্যে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম পরীক্ষার সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মোঃ ফকরুল হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, স্বচ্ছ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া হবে এবং নিয়োগে কাউকে অর্থ না দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।