পাটকেলঘাটায় আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত, বাম্পার ফলনের সম্ভবনায় চাষিরা

0
507

মো. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা : ঋতুরাজ বসন্তের মাঘের শেষ আর ফাল্গুনের আগমনী বার্তা দেয় দক্ষিনা হাওয়া আর গাছে গাছে বিভিন্ন মুকুলের সমারোহ । শীত শেষ না হতেই অস্তিত্ত্বে জানান দিতে মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পাটকেলঘাটাসহ তালা উপজেলায়। পুষ্টিকর এই ফলটি বাম্পার ফলনে সম্ভবনা ইঙ্গিত দি”্ছে । মুকুলে ছেয়ে যাওয়া গাছগুলো দেখে ভাবা যেতে পারে সর্বাধিক জনপ্রিয় এই ফলের এক চমৎকার ফলন হতে পারে । তবে সংগ্রহের আগ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি অনূকূলে থাকবে কি না নিয়ে বিশেজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা চিন্তিত । মুকুল ঝরে পড়া বিষয়ে যথাযথ টেকসহ পরিচর্যার ব্যবস্থার নেয়া অত্যাবশ্যাাক । তাই বলা যায় কবির ভাষায়, ফাল্গুনের বিকাশিত কাঞ্চন ফুল ডালে-ডালে পুঞ্জিত আস্ম্র মুকুল। বনে বনে ফুল ফুটেছে,দোলে নবীন পাতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিটা-বাড়ী,আঙ্গিনা অথবা বাগানের সারি-সারি গাছে মুকুলের ফুটন্ত ডাল পালা উঁকি মেরে বের হতে শুরু করেছে। তালা উপজেলায় চারদিকে দৃষ্টিদন্দন এই দৃশা সবারই নজর কাঁড়ছে । মনে পড়ে সেই ছোট বেলার কথা সামান্য হাওয়া দোলা খেয়ে আম গাছ থেকে টপকে পড়া আম কুড়িয়ে রসালো ফলের স্বাদ,তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়া সবাই মিলে-মিশে একসাথে আম খাওয়ার প্রতিযোগিতা ।
ফল গবেষনা সূত্রে জানা গেছে,চলমান জলবায়ু পরিস্থিতি আমের মুকুল ফুঁটে উঠার জন্য যথোপয়োগী ইতোমধ্যে অসংখ্যা গাছের মুকুলিত রুপ নজর কাঁড়ছে। জানুয়ারী মাঝা-মাঝি থেকে শুরু করেছে গাছগুলো মুকুলিত চলতি মাসের মাঝামাঝি চাষের জন্য যথোপযোগী আবহাওয়া সুবাদে শতকরা ৯০-৯৫ভাগ গাছ মুকুলিত হয়ে উঠেছে। পাটকেলঘাটায় প্রবীন নাগরিক আরশাদ আলী বলেন, যত বেশি আমের মুকুল ,ততবেশি ঝড়-তুফানের আশাঙ্খা রয়েছে। এদিকে ফাগুনের আগুন লাগতে শুরু করেছে আম কাননে মধু মাস জানান দিচ্ছে মুকুলে মুকুলে। আম গাছে শীষচুড়া মুকুলের রঙে একবার হলুদে হয়ে গেছে । মুকুলের সু-ঘ্রানে স্তরে গেছে আকাশ-বাতাস । ভাল ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন এ উপজেলায় আম চাষিরা ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মল্লিক শফিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারী মাসে মাঝা-মাঝি সময়ে তাপ মাত্রা বাড়তে পারে এবং ৮/৯ তারিখে উত্তর অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বলা যায় আবহাওয়া ভাল হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
আমের পরিচর্চা ও পরামর্শা বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চাষীদের পরামর্শসহ বিভিন্ন ট্রেনিং ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরো বলেন,মুকুল ও মটরদানা এবং মারবেল মতো হলে গাছে স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রতিটি এলাকায় চাষে সাফল্য এনে দেবে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here