পাবদা মাছ চাষে সফল ঝিকরগাছার শান্তি

0
2022

এম আর মাসুদ : প্রায় বিলুপ্ত দেশীও প্রজাতির পাবদা মাছ চাষে সফল হয়েছেন আহমেদ ফারুক শান্তি। পরীক্ষা মূলক এই মাছ চাষে তিনি এ বছর প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা লাভবান হবেন। তিনি পাঙ্গাস মাছ চাষেও ব্যাপক সফল হয়েছেন। তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের রঘুনাথ নগর গ্রামের মৃত নিছার আহমেদের পুত্র।

বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্ত্যবায়নে চলতি বছর ঝিকরগাছা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর আহমেদ ফারুক শান্তিকে ৮০ শতক জলাশয়ে পাবদা মাছের একটি প্রদর্শনী দেয়। কিন্তু শান্তি দেশিও প্রজাতির এই পাবদা মাছসহ ২৩০ শতক জলাশয়ে চাষ করেন। তিনি জানান, চলতি বছর জুন মাসে প্রথম দিকে এ মাছ চাষ শুরু করেন। ৭ বিঘা অর্থাৎ ২৩১ শতক জলাশয়ে তিনি ২ লক্ষ পাবদা মাছের চারা ছাড়েন। তখন মাছের দৈঘ্য ছিলো ১ ইঞ্চি। সে সময় প্রতিপিচ মাছের চারা তাকে কিনতে হয়েছিল এক টাকা ৩০ পয়সা করে। বহনসহ ২ লক্ষ মাছের চারায় খরচ পড়েছিলো ২ লক্ষ আশি হাজার টাকা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ও ভোর রাতে ২বার করে খাবার দিতে হয় এই মাছের। দিনের বেলায় জলাশয়ে মাছের দেখা মেলে না। গত ৭ মাসে ২লক্ষ মাছের খাবারসহ মোট খরচ হয়েছে ৮ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি একটি জলাশয় থেকে ১১ লক্ষ টাকা পাবদা মাছ বিক্রি করেছেন। ওই জলাশয়ে এখনও লক্ষাধিক টাকার মাছ আছে বলে তিনি জানান। ওই জলাশয়ে তিনি ৬১ হাজার পাবদা মাছের চারা দিয়ে মোট খরচ হয়েছিলো সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। তাঁর প্রদর্শনী পুকুরসহ অপর ২ জলাশয়ে এক লক্ষ ৪০ হাজার পাবদা মাছের চারা ছাড়া ছিলো। এ দুই জলাশয়ে খাবারসহ তার মোট খরচ হয়েছে ১৩ লক্ষ টাকা। এই জলাশয়ের ১৫-১৭টি মাছের ওজন হচ্ছে এক কেজি করে। বর্তমান প্রতিকেজি পাবদা মাছের পাইকারি দাম ৪৫০ টাকা। বাজারে এ দাম বহাল থাকলে শান্তি ৩৫ লক্ষ টাকার উপরে মাছ বাজারে বিক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তাছাড়া তিনি এসব জলাশয়ে পাবদার পাশাপাশি রুই, কাতল, সিলভারকার্প, গ্লাসকার্পসহ সাদা জাতীয় মাছের চাষও করছেন সমান তালে। ফলে এসব মাছেও তিনি মুনাফা পাবেন কাঙ্খিত হারে। শান্তি প্রর্দশনী জলাশয় সরেজমিনে গতকাল সোমবার জেলা মৎস্য অফিসার ড. শেখ শফিকুর রহমান, বৃহত্তর যশোর জেলার মাছ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হরেন্দ্র নাথ সরকার, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম, বৃহত্তর যশোর জেলার মাছ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-পরিচালক বিশ্বজিত বৈরাগী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার আনোয়ারুল কবির, ঝিকরগাছা উপজেলা সমবায় অফিসার রনজিত কুমার দাস, বৃহত্তর যশোর জেলার মাছ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের সহহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ও সহকারি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমান প্রদর্শনে জান। এসময় চাষকৃত পাবদা মাছের আকার আকৃতি দেখে কর্মকর্তাগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শেখ শফিকুর রহমান জানান পাবদা মাছের এমন সফলতা সাধারণত চোখে পড়েনা। আহম্মেদ ফারুক শান্তি একজন সফল মাছ চাষী। বিশেষ করে পাবদা মাছে তার সাফল্য অপ্রতিদন্দ্বী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here