পুটখালীর মাদক সম্রাট নাসির কে খামার ব্যাবসায়ী বানাতে হলুদ সাংবাদিকতায় সক্রিয়একটি মহল

0
465

বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী সীমান্তের মাদক সম্রাট খ্যাত বড় নাসির কে তরুন উদ্দোক্তা সহ খামার ব্যাবসায়ী বানিয়ে বিভ্রান্তী মূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন বেনাপোলের সাংবাদিকদের একটি মহল। তাদের এই অপকৌশলে প্রশাসনের নজর এড়াতে সক্ষম হবেন শার্শা-বেনাপোল সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীরা।আরো উৎসাহিত হবেন মাদকব্যাবসায় এমনই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শার্শার সুশীল সমাজ।সাথে সাথে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে মাদক ব্যাবসায়ীর হাতে জিম্মি না করার আহবান জানিয়েছেন।টাকার বিনিময়ে চোরাকারবারী ও মাদক বিক্রেতার অপরাধ ঢাকতে স্বচ্ছ ব্যাবসায়ী বানানোর অপচেষ্ঠায় মহান পেশাকে কলঙ্কিত করা হতে বিরত থাকতে বলেছেন এলাকার প্রবীন সাংবাদিকরা।আজকের দর্পন পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার,ডেইলি আমার সংবাদ২৪ অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিক মোঃনজরুল ইসলামের লেখা প্রতিবেদনে “শার্শার পুটখালী সীমান্তে গ্রাম পুলিশের উপর মাদক সম্রাট নাসির বাহিনীর হামলা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখেছি।আবার দুই মাসের ব্যাবধানে অদ্য বৃহষ্পতিবার একই সাংবাদিকের লেখা প্রতিবেদনে“ বেনাপোল পুটখালীর নাসির সরদারের বি এন পিতে যোগদানের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ” শিরোনামে প্রকাশিত খবরে মাদক সম্রাট নাসির কে সফল তরুন গরু ব্যাবসায়ী বানানো দেখে হতবাক হয়েছি।চিহ্নিত ঘাট পরিচালনাকারী ও মাদক সম্রাট কে বিশিষ্ট খামারী বানানোর অপচেষ্ঠা কে জনসাধারনেরর সাথে প্রতারনার সামিল উল্লেখ করে অবিলম্বে হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে জড়িত সাংবাদিক দের ক্ষমা চেয়ে ভূল স্বীকারের আহবান জানিয়েছেন।তিনি আরো জানান,সামান্য টাকার জন্য দুই রকম তথ্য সন্মলিত সংবাদ পরিবেশন করে জনসাধারনের মাঝে বিভ্রান্তী সৃষ্টি করা গুরুতর অন্যায় ও আইনে ফৌজদারী অপরাধ ও বটে।পুটখালীর বড় নাসির সীমান্ত ঘাট পরিচালনার সুবাধে এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে সু পরিচিত।তার অপকর্ম পরিচালনায় এলাকায় নিজিস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়েছে যারা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ পরিবেশনের জেরে গনমাধ্যম কর্মীদের উপর চড়াও হওয়া সহ মারধরের একাধিক ঘটনা সবারই জানা আছে।তারপর ও নাসির কে নিয়ে অপ সাংবাদিকতা অত্যান্ত দুঃখ জনক ও উদ্দেগেরও বটে।এ বিষয়ে সাংবাদিক নজরুলের মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় বিবৃতি নেওয়া সম্ভব হয়নী।প্রসঙ্গত পুটখালী সীমান্ত ঘাট দিয়ে ভারত হতে বানের স্রোতের মত মাদক দ্রব্য ঢুকছে।এ কাজে জড়িতরা দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির শুরু হতেই সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বড় নাসিরের সাথে যোগা যোগ সাপেক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা শহর হতে যান বাহন যোগে পুটখালী গ্রামে ঢোকেন।নাসিরের সহোযোগীরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের ম্যানেজ করে মাদক ক্রেতাদের গ্রামে প্রবেশ করতে সহোযোগীতা করে থাকেন।পরবর্তীতে অভিনব সব কৌশলে মাদক বহন করে নিয়ে চাহিদা মত জায়গায় সরবাহ করেন তারা।গত ৭ জুন রবিবার ভোরে বিজিবির নিজিস্ব গোয়েন্দা আরআইবির সদস্যরা পুটখালী গ্রামের আমবাগানের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১১১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। ৬ই জুন পুটখালী সীমান্তে ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিনব কৌশলে মাদক বহনের সময় ৯৬ বোতল ফেনসিডিল ও মটর সাইকেল সহ হোমিওপ্যাথী চিকিৎসক মোঃ সেলিম কে আটক করেন।শনিবার (৯মে) বিকালে পুটখালী মসজিদ বাড়ী এলাকা হতে পুটখালী বিওপির নায়কে তরিকুলের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪১৩ বোতল ফেনসিডিল ও ১টি পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছেন।তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নী। শুক্রবার(৮মে) দুফুরে বড় আঁচড়া গ্রামরে আমিনুরের স্ত্রী শাহিনুর(৪০)নামের নারী মাদক ব্যাবসায়ী ২২বোতল ফেনসিডিল সহ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের কাছে আটকহন।গত ২ মে শনিবার শার্শার কায়বা সীমান্তে সাদা রং এর প্রাইভেটকারে বহন কালীন সময়ে ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার সহ গাড়ীটি আটক করনে।একি দিন ভোর রাতে বেনাপোল র্পোট থানা পুলিশ সদস্যরা পুটখালী ইউপির বারোপোতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলাম(২৫)নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে ৫শ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করন।রবিবার(৩মে)রাতে ২১বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পুটখালীর ঈদগাহ মাঠ এলাকা হতে পরিত্যাক্ত ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন।পহেলা মে শুক্রবার পুটখালী ক্যাম্পের বিজিবি টহল দল পুটখালী গ্রামে পরিত্যাক্ত ৩কেজি গাঁজা উদ্ধার করনে।গত ২০ এপ্রিল সোমবার বরিশাল সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম সুমনের স্কুল ব্যাগে থাকা ৮২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার সহ তাকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা।উপরোক্ত মাদক দ্রব্য উদ্ধার সহ আটকের সত্যতা বিজিবি যশোর রিজিওন ক্যাম্প সুত্র নিশ্চিত করেন।পুটখালী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান,সীমান্ত ঘাটটি দীর্ঘ দুই বৎসরের বেশী সময় ধরে বড় নাসির নিয়ন্ত্রন করেন।ভারত হতে গরু ঢোকা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই ভারত হতে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য ওঠছে যা নিয়ন্ত্রন করেন বুধো নাসির।নাসির বরাবরই বি এন পির রাজনিতীতে জড়িত ছিলো।অবৈধ ব্যাবসা চালাতে এখন আওয়ামীলীগ দল করছে।বর্ডারগার্ড সদস্যদের পুটখালী সীমান্তের ধারাবাহিক মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান হতেই প্রমানিত হয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে খামার ব্যাবসায়ী পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার চেষ্ঠায় গনমাধ্যম কর্মীদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা পুটখালীর বুধো সর্দ্দারের প্রত্র বড় নাসির ই হলো মূলত শার্শা সীমান্তের কু-খ্যাত মাদক সম্রাট।