ডি এইচ দিলসান : একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে যশোরে নব নির্মীত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সমাবেত হন ফাতেমা হাসপাতাল মোড়ে নিব নির্মীত শহীদ মিনারে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো: আমলাফ উদ্দীনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সম্পাদক ছাল-ছাবিল-আহমেদ জিসান, একরাম-উদ-দৌলার নেতৃত্বে যশোর সংবাদ পত্র পরিষদ, যশোর প্রেসক্লাবের সম্পাদক তেীহিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রেসক্লাব যশোর, হাবিবুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি নূর ইসলামের নেতৃত্বে সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিকরা শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন দৈনিক গ্রামের কাগজ পরিবার, দৈনিক কল্যান পরিবার, ম্যাগপাই নিউজ পরিবারসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।।
এছাড়াও জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ,মহিলা লীগ, জাসদ, বাসদ, যুবদল, ছাত্রদলসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।