কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে জমি জমা নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে কেশবপুর প্রেসক্লাব হলরুমে আব্দুল লতিফ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক ,আব্দুল হালিম ও ভাগ্নে আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাহিদুল ইসলাম, যোগ সাজসে পৈর্র্তক জমি জমাসহ বড় ভাই মৃত আব্দুল হাইকে বঞ্চিত করে অন্য শরিকদেও না জানিয়ে জমি দলিল করা সহ নানা রকম চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে জড়িত রয়েছে। আব্দুল লতিফ নিজেকে পেশায় একজন ড্রাইভার বলে উল্লেখ কওে বলেন, তাতেই অভাব অনটনে সংসার চলে। যৌথ পরিবারে বসবাস করাকালিন ২০১৭ সালে আমাদের পিতা আনোয়ার হোসেন ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে মারা যান। পিতার সমস্ত সম্পত্তি দেখাশুনাসহ সংসারের যাবতীয় অর্থ সম্পদ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে থাকতো। দেড়যুগ আগে আমার পৈতিক ৩২ শতক জমি বিক্রি করে সে কেশবপুর শহরের কাঁচা বাজারে জমি ক্রয় করে সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। এছাড়া ২০০০ সালে আমাদের পরিবারের ১টি ট্রাক ২টি পিকআপ ছিল। এ সময় আমার স্ত্রী চম্পা বেগমের কাছ থেকে ফেরৎ দেয়ার শর্তে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা আব্দুর রাজ্জাক হাতিয়ে নেয়। এসব কিছু সেই দেখাশুনা করতো। পরবর্তীতে ১ নং বিবাদি লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ট্রাক ও পিকআপ বিক্রি করে ৫০ লাখ টাকাসহ আমার স্ত্রীর পাওনা টাকাও সে আতœসাৎ করে। পিতা মারা যাবার পর জানতে পারি কেশবপুর শহরের কাঁচা বাজারে জমি থেকে আমি ও আমার বড় ভাই মৃত আব্দুল হাইকে বঞ্চিত করে সে প্রতারণা করে ৩ ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করেছে। এরপরও পিতার জমি সে কুক্ষিগত করে নিজের দখলে রেখে অদ্যাবধি ভোগ দখল করে আসছে। ভাই আব্দুর রাজ্জাকের নিকট হিসাব চাওয়ার পর তারা জোটবদ্ধ হয়ে একের পর এক হুমকিসহ মিথ্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের পরিবারের সমস্যা নিরসনে গ্রাম্যভাবে একটি সালিসি বৈঠক বসে। সালিসে আমারসহ অন্য ভাইদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মর্মে আমি ও আমার ভাইপো রবিউল ইসলাম তার অবৈধ দখলে থাকা জমির দখল বুঝে নিয়েছিলাম। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সে আমিসহ ভাইপো রবিউল ইসলামের নামে গত ১৫ জুন থানায় মিথ্যা ডায়েরী করে। যার নং- ৫৮০। গত ১৫ জুন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং- ৬১৭। তাং-১৬/০৬/১৯। বর্তমান সে থানা থেকে জিডি তুলে নেয়ার জন্যে হুমকি দিচ্ছে। না তুললে আমার পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবে বলেও সে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এক সহোদর ভাইয়ের অত্যাচারে আমরা ৩টি পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।