পাইকগাছা প্রতিনিধি : অবশেষে খুলনার পাইকগাছায় হাইকোর্টের নির্দেশে কপোতাক্ষ নদের তীরে বহুল আলোচিত বিরোধপূর্ন এসএকে (বর্তমানে এ কে বি) ব্রিক্স এ পানি ঢেলে যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ফায়ার সার্ভিসের (দমকল) বাহিনী ভাটার দ্বিতীয় রাউন্ডে ইট পোড়ানো অবস্থায় ক্লিনের ভিতর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেন এবং আদালতের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ সময় থানার ওসি (অপারেশন) প্রবীন চক্রবর্তী ও খুলনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তানভির আহম্মেদ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউপির কপোতাক্ষ নদের তীরে হাসিমপুর মৌজায় ৭ বছর পূর্বে প্রায় ১৪ একর জমিতে স্থানীয় রুহুল আমিন খাঁন গংরা এসএকে, ব্রিক্স নামে একটি ইট ভাটা গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ভাটার স্বত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৩ বছর আগে রুহুল আমিন খাঁন, আঃ ছালাম ও রাজ্জাক খাঁন গংরা বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং ছালাম খান গংরা ভাটার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে একেবি ব্রিক্স নাম দেন। এ ভাটার বিরোধে দখল, পাল্টা দখল, বহু হামলা-মামলাসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং সর্বশেষ ক্ষমতাসীনরা এ বিরোধে জড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে এবং সংবাদ শিরোনামে পরিনত হন। এদিকে স্থানীয় সাহাবুদ্দীন খাঁন, ভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই আঃ ছালাম খাঁন গংদের বিরুদ্ধে গত বছর মহামান্য হাইকোর্টে ১৬৯২৪/২০১৭ রিট পিটিশন দায়ের করলে দু’পক্ষের শুনানীন্তে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে দু’সদসোর বেঞ্চ ১০ ডিসেম্বর অবৈধভাবে পরিচালিত ইট ভাটার কার্যক্রম স্থগিত করে তা বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে আদালতের নির্দেশনা কার্যকরা করা হয়েছে এবং আদালতের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র সহায়-সম্পদ দেখভালের জন্য ভাটার বাহিরে দু’একজন কর্মচারী ছাড়া যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে প্রতিপক্ষ সালাম খাঁন না থাকলেও তাঁর অনার্স পড়ুয়া মেয়ে ময়না জানান, আদালতের আদেশ মতো তার পরিবার ভাটার কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে দাবী করেন।