বাঁশতলা বাজারে জমে উঠেছে ঈদের রমরমা কেনাকাটা

0
386

ইকবাল হোসেন কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারে জমে উঠেছে ঈদের রমরমা কেনা কাটা। ঈদের আন্দকে পূর্ণতা দিতে যে জিনিসটা ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না তা’হলো নতুন জামা কাপড়। জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদহ এর মধ্যে দিয়ে পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে নতুন কাপড় উপহার দিতে এক দোকান থেকে অন্য দোকান ছুটে বেড়াচ্ছে ক্রেতারা। যারা পছন্দের নির্দিষ্ট ডিজাইনের দ্বারা নিজের কাপড় বানাতে চান তরা শপিং সম্পন্ন করেছে আগে ভাগেই। তারা এখন ভিড় জমাচ্ছে দর্জি দোকানে । প্রথম দিকে ভিড় ছিল থান কাপড়ের দোকান গুলোতে। এখন সে ভিড়কে স্বাগত জানাচ্ছে তৈরি পোশাকের দোকানগুলো।কেনা কাটার জগতে কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার।ঈদকে সামননে রেখে বাজারের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা জানালেন, বাঁশতলা বাজারে মায়া গার্মেন্টস ,সরদার সপিং সেন্টার,বিসমিল্লাহ শপিং সেন্টার সহ অনেক গুলো বড় বড় বস্তবিতান থাকায় ভাল জিনিস অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাওয়া যায় বিধায় এখানে কেনা কাটা করে স্বাদছন্দ বোধ করেন ক্রেতারা । ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লাবনী আক্তার বলেন,আমাদের আশ-পাশের এলাকার সব চাইতে বাঁশতলা বাজার বড় বাজার বলে আমরা এখান থেকে ঈদের মার্কেট করছি গাউন, থ্রি-পিছ, বাঁচ্চাদের জন্য কাপড়, জুতা ইত্যাদি। তিনি আরও জানান, ঈদের সময় দোকান গুলোতে অনেক ভিড় থাকে তার পরেও এবছর পছন্দের জিনিস কিনতে পেরে আমি অনেক খুশি। বাঁশতলা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবছর মেয়েদের গাউন ও ছেলেদের পাঞ্জাবী বেশি বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতা জানালেন, জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদহে সারাদিন রোজা রেখে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটাছুটি করতে কষ্ট হলেও ঈদের আনন্দের কাছে তা কিছুই না। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী জানান, রোজা রেখে মার্কেটিং করা অনেক কষ্ট, তার উপর জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড গরম আর মানুষের ভিড়তো আছেই। মহীশকুর গাজীপুর থেকে কেনাকাটা করতে আসা অনেক ক্রেতা জানান, বাবার জন্য পাঞ্জাবী, মায়ের জন্য শাড়ী, ভাই, ও বোনের জন্য থ্রি-পিছ, পাঞ্জাবী ও জিন্স প্যান্ট এছাড়া আত্মীয় স্বজনের জন্য অন্যান্য জিনিস কেনাকাটা করেছি। তিনি আরও জানান, এবছর বাজারের দোকান গুলোতে কালেকশন অনেক ভাল। বাজারের পরিবেশ খুবই ভাল লাগছে। ক্রেতারা বলেন,কেনা কাটা করে অনেক আনন্দ পাচ্ছি। ঈদ আসতে বাকী আর মাত্র কয়েক দিন। নতুন কাপড় ঈদ আনন্দের মাত্রাকে বাড়ীয়ে দেবে আরও কয়েক গুন এমনটাই মনে করছে সকলেই। এছাড়া ফুটপাতের গুলোতে আতর, টুপির সহ কসমেটিক্স দোকান গুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here