যশোরে অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

0
404

বিশেষ প্রতিনিধি : স্বামীর পরকীয়াতে বাধা দেয়ায় বেনাপোলে শারমিন আক্তার সীমা (২৪) নামে সাত মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা বেনাপোল পোর্ট থানার বাস টার্মিনাল পাড়ার নাজমুলের স্ত্রী।
মৃতের পিতৃ পক্ষের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়ার জন্যে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্বামীর পরিবারের দাবি, সাংসারিক বিরোধের জেরধরে তিনি গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের আক্তারের ছেলে নাজমুল এর সঙ্গে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নাজমুলের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে সে ব্যাপক নির্যাতন করতো। এ নিয়ে পারিবারিক ও গ্রাম্য শালিস হয়েছে অনেকবার। এর মধ্যে শারমিন একটি কন্যাসন্তানের মা হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে শারমিন নির্যাতন সহ্য করতেন। কিন্তু নির্যাতন মাত্রা ছাড়ালে এক পর্যায়ে বাপের বাড়িতে এক বছর আগে চলে আসেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় স্বামী নাজমুল। তবে পরকীয়ায় অভ্যস্ত নাজমুলের চরিত্র বদলায়নি। শনিবার ভোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে সে। পরে মরদেহ বিছানার ওপর রেখে পালিয়ে যায়।
শারমিনের বাবা শফিকুল জানান, ঈদের দিন সকালে জামাইয়ের পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে তারা ঘরে গিয়ে সীমার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেয়। শারমিনের শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, শারমিনের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই পালাতক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর সঠিক কারন বলা সম্ভাব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here