যশোর অফিস : যশোর সদরে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ১২ বছর বয়স্ক এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর গ্রাম্য শালিস বসিয়ে জনপ্রতিনিধির সহায়তায় ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী।
দুঃখজনক এঘটনাটি ঘটেছে গত ৪এপ্রিল রাতে যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের সন্যাসী বটতলা এলাকায়। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর কলোনী পাড়ার দিনমজুর হাসান আলীর কন্যা ফতেপুর গ্রামে সন্যাসী বটতলা এলাকায় নানা আজিজের বাড়িতে থেকে স্থানীয় ফতেপুর প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করে আসছিল। একই এলাকার রেজাউলের ছেলে বায়েজিদ ফুঁসলিয়ে প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে মেয়েটি ১মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রামে শালিস বসিয়ে স্থানীয় মেম্বর তবিবর রহমানের সহায়তায় ধর্ষক বায়েজিদের সাথে মেয়েটিকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। স্থানীয় চাঁনপড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মঞ্জুর আলী খান এবং মেম্বর তবিবর রহমান এঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক বায়েজিদ ওই মেয়েটিকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে স্বপরিবারে পালিয়েছে। তারা কোথায় গেছে তার সঠিক খোঁজ কেউ দিতে পারেনি।
স্থানীয় সুধী মহল ধর্ষক বায়েজিদ, নাবালিকা বিবাহের কাজী ও গ্রাম্য শালিসকারীদের বিরুদ্ধে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#