যশোরে নকল পণ্য তৈরির কারখানার সন্ধান, জেল-জরিমানা

0
332

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে অনুমোদনহীন কারখানায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল পণ্য ও ক্যামিক্যাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের কিসমত নওয়াপাড়ায় এই অভিয়ান চালানো হয়। অভিযানে এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানটির মালিক মামুন-অর-রশিদকে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওষুধ পশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

দন্ডিত মামুন-অর-রশিদ ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিজ বাড়িতেই এই কারখানা গড়ে তোলেন।

যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কাজী আতিকুর রহমান জানান, অভিযানে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোতলজাত নকল পাওয়ার হ্যান্ডওয়াস, নকল পাওয়ার ভিক্সল, নকল ভলভো পাওয়ার ব্যাটারির পানি, পাওয়ার টয়লেট ক্লিনার, প্রায় ৫২ ড্রাম সালফিউরিক ও ৪১ ড্রাম হাইড্রোক্লোরিক এসিড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া নকল পণ্য তৈরির কয়েকটি মেশিনও কারখানা থেকে জব্দ করা হয়েছে।

পরে আটক প্রতিষ্ঠানটির মালিক মামুন-অর-রশিদকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদন্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমারা অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অবৈধ কারখানাটিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। তবে অভিযানে গিয়ে তথ্যের চেয়ে আরো বেশি অপকর্মের প্রমাণ পান কর্মকর্তারা। ড্রাম, ড্রাম সালফিউরিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড সেখানে মজুদ রাখা হয়েছে। কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচামাল পড়ে আছে।

কারখানাটিতে নিয়োগকৃত কোন স্বীকৃত কেমিস্ট নেই। অক্ষরজ্ঞানহীন শ্রমিকরা ইচ্ছামত ঝূকিপূর্ণ রাষায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করে এসব পণ্য। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া অভিযানে কারখানার মধ্যেও অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশ পাওয়া যায়। কারখানাটির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদনও। অবৈধভাবে বাড়িতে এভাবে নকল পণ্য তৈরি করে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছিল মামুন-অর-রশিদ।