বিশেষ প্রতিনিধি : নিজেকে সেনা কর্মকর্তা দাবি করে এক শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার কথা বলে বাড়িতে হাজির হলে স্থানীয় জনগন সোহেল রানা নামে এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের দিয়েছে। সে নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ তার দখল হতে সেনা বাহিনীর বিভিন্ন র্যাংকের ৭টি পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যশোর তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম জানান, যশোর সদর উপজেলার শালিয়াট গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানার সাথে সোহেল রানার ২/৩ বছর পূর্বে পরিচয়। পরিচয়ের সূত্রধরে সোহেল রানা মোবাইল ফোনে সুমাইয়া সুলতানার সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে সুমাইয়া সুলতানার কাছে নিজেকে সেনা বাহিনীর সেকেন্ড লেঃ পরিচয় দেয়। বৃহস্পতিবার সোহেল রানা নীল রংয়ের মোটর সাইকেল নিয়ে শালিয়াট গ্রামের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে হাজির হয়ে সুমাইয়া সুলতানাকে বিয়ের কথা বলে। সুমাইয়া সুলতানা যশোর নাসির্ং ইনষ্টিটিউটের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে খন্ডকালীন চাকুরী করে। ২/৩ বছর পূর্বে যশোর জেনারেল হাসপাতালে সোহেল রানার এক রোগীকে নিয়ে আসার পর সুমাইয়া সুলাতানার সাথে পরিচয়। সে সময় থেকে সুমাইয়া সুলতানার সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। বৃহস্পতিবার বিয়ে করতে এসে সোহেল রানার কথা বার্তা সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এক পর্যায় সোহেল রানা স্বীকার করে সে ভূয়া সেনা কর্মকর্তা। পরে স্থানীয় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে তাল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা সোহেল রানাকে হেফাজতে গ্রহন করেন। সোহেল রানা পুলিশের কাছে ভূয়া সেনা কর্মকর্তা বলে স্বীকার করে। এ ঘটনায় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের একজন এএসআই বাদি হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সোহেল রানাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম