নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে চারদিনের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুতে দিয়েছে এক গর্ভধারিনী মা ও তার পরকীয়া প্রেমিক। জনাজানি হলে শনিবার দুপুরে পুলিশ লাশ উত্তোলন করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে । ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা আনিছুর রহমার ও লিপিকাকে এই জঘন্য কাজে সহযোগিতা করেছে একই গ্রামের দুলাল হোসেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কওছার আলী সহ এলাকার সাধারণ মানুষ আাসামীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন।
মৃত শিশুর পিতার অভিযোগ তার স্ত্রী পরকীয়ার কারণে শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে। শিশুটির পিতা আলিউল ইসলাম অভিযোগ করে আরো বলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে লিপিকা বেগমের সাথে দু’বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালো চলে। এর একবছর পরে একই গ্রামের বুদো বাবর আলীর ছেলে আনিছুর রহমানের সাথে লিপিকা বেগম পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে গর্ভবতী অবস্থায় তার স্ত্রীকে শালিশের মাধ্যমে আনিছুরের ঘরে তুলে দেয়া হয়। মাতব্বরদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে আনিছুর এটা করেন। শালিশ করেন একই গ্রামের আব্দুর রহিম, সবুজ ও দুলাল। আনিছুর মাতব্বরদের দিয়ে আলিউলের স্ত্রীর খোরপোষের দাবি করেন। অথচ তার স্ত্রীকে তিনি তালাক দেননি। বিয়ে না করে আনিছুর রহমান তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতো। গত বুধবার শিশুটিকে জন্ম দেয় লিপিকা বেগম। লিপিকা ও তার প্রেমিক আনিছুর শুক্রবার রাতে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আলিউলের জমিতে লাশ পুতে দেয় এরা। জানাজানি হলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন করে হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী কর্মকর্তা ডা. গৌতম কুমার সরকার জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ শিশুটির পিতা আলী উল ইসলামের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।