যশোর -৪ আসনের নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী

0
908

অনুপম দে,বাঘারপাড়া(যশোর) প্রতিনিধি : বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত যশোর-৪ আসনটি । আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেন আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী।গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ নভেম্বর হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যশোর -৪ আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এমপি রনজিৎ রায়,আলহাজ সোলায়মান হোসেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও সাবেক সহ সম্পাদক এস এম আলমগীর হাসান (রাজীব ),সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল,কৃষকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন,অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, সরদার ওলিয়ার রহমান,সাবেক মেয়র এনামুল হক বাবুল ও সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হ্যাট্টিক করতে এমপি রনজিত রায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্ণাঢ্যময় রাজনৈতিক জীবন এমপি রনজিত রায়ের। তৃনমুল থেকে নানা চরাই উতরাই পার করে উঠে আসা একজন সফল রাজনীতিবিদ।১৯৭১ সালে বন্দবিলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।ছাত্রজিবন থেকেই একজন প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ। বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িক্ত পালন করেছেন। রাজনীতির মাঠে সূদীর্ঘ পথচলা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি রনজিত রায়ের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে এমপি তনয় ডাঃ সজিব রায়। মনোনয়নের ব্যাপারে রনজিত রায় বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ অত্র এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। সাধারন জনগন উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ২৩ ডিসেম্বর ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে। আওয়ামীলীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল,মনোনয়ন অনেকেই চাইতে পারে।জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার সম্পূর্ণরুপে বিশ্বাস ও আস্থা আছে। দেশনেত্রী আমার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক এবং আমিই মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস করি।” উল্লেখ্য যশোর-৪ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী রনজিৎ রায় বিজয়ী হন।২০১৪ সালে রনজিৎ রায়কে জিততে হয় নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী অভয়নগরের বাসিন্দা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে। আওয়ামীলীগের আরেক জনপ্রিয় নেতা আলহাজ মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেনের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মনোনয়ন ক্রয় করেছেন।বর্ণাঢ্যময় রাজনৈতিক জীবনে বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক(১৯৮৮-২০০১)। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি এবং নৌকা প্রতীক পাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক দিক দিয়ে আমার বিষয়ে বিবেচনা করবে বলে আশাবাদী।”এছাড়া আওয়ামীলীগের আরেকপ্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও সাবেক সহ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেন (রাজীব )।১৯৯৪ সালে খুলনা বি.এল কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও খুলনা মহানগর শাখার ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন। তিনি বলেন,“ছাত্রজিবন থেকে রাজনীতি করছি।দলীয় সভানেত্রী নমিনেশন দিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকার উন্নয়ণে আমরণ চেষ্টা করবো।’’আরেক প্রার্থী সাবেক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে একজন সক্রিয় নেতা।নির্বাচনী মাঠে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় এ নেতা বলেন,‘‘তৃনমূলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছে। আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি এবং নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।”অপরদিকে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে মনোনয়ন ক্রয় করেন পীরজাদা মরহুম শাহ হাদীউজ্জামানের কনিষ্ঠ পুত্র শাহ খালিদ মামুন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা দলীয় হাইকমান্ডের সুবজ সংকেতের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। সাধারন জনগনের মাঝে আগ্রহ জাগাচ্ছে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক।নির্বাচনী এলাকার জনগনও চায়ের দোকানগুলোতে প্রার্থীদের আলোচনা ও সমালোচনা করছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে হবে নৌকার মাঝি এ নিয়ে চলছে নির্বাচনী এলাকায় চুলচেরা বিশ্লেষন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here