শিক্ষিকার মামলায় জিএম বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

0
305

নিজস্ব প্রতিবেদক:মণিরামপুরের এক শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রতারণামূলকভাবে সাড়ে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জিএম বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এই আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে বাবু ওরফে জিএম বাবু নামে একই আদালতে মামলা করে ছিলেন।
আসামি বাবু একই উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কলেজপাড়ার মৃত ইরফান আলী গাজীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাদী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলেসহ ২০১৪ সালে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর তিনি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আসামি বাবু ওরফে জিএম বাবুর সাথে তার পরিচয়। সেই সুবাদে বাদীর ভাড়া বাসায় বাবুর যাতায়াত করার এক পর্যায়ে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সাথে বাদীকে বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভন দেখায় বাবু। বাদী তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লে বাদীর সাথে বাবু শারীরিক সম্পর্ক করে। একই সাথে বাবু বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে বাদীকে দিয়ে ঋণ করে নিয়েছেন আরো কয়েক লাখ টাকা। তবে ওই ঋণের ক্ষেত্রে আসামি প্রতারক বাবু নিজেকে বাদীর স্বামী পরিচয় দিয়েছে।
গত ৩ মার্চ আসামিকে বাসায় ডেকে নিয়ে বাদীকে বিয়ে করার জন্য বলা হয়। এ সময় আসামি বাবু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এঘটনায় মণিরামপুর থানায় গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় থানা কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এ মামলা করেন। বিচারক মাহমুদা খাতুন মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছিলেন। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নান তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। বুধবার এ প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক আসামি বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।