নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ বিক্রি করা হচ্ছে ১০ জুনের টিকিট।
টিকিট কিনতে কমলাপুর রেলস্টেশনে রয়েছে প্রচণ্ড ভিড়। ভোর রাত থেকে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে দাঁড়ান টিকিটপ্রত্যাশীরা।
ঢাকা রেলওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে তাদের একাধিক দল কাজ করছেন।
ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। ঢাকা স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়া হবে। ২ জুন ১১ জুনের টিকিট, ৩ জুন ১২ জুনের টিকিট, ৪ জুন ১৩ জুনের টিকিট, ৫ জুন ১৪ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন ১৫ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। ফিরতি টিকিট ছাড়া হবে ১০ জুন থেকে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে এবং এই টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি চলছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদের আগে ১১ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেন সমূহ সাপ্তাহিক ছুটিতেও চলাচল করবে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কমলাপুর, ১ জুন, ২০১৮। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কমলাপুর, ১ জুন, ২০১৮। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ।
এবার বিশেষ সাত জোড়া ট্রেন দেওয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে রাজশাহী স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রেলপথে পার্বতীপুর স্পেশাল। এই পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে ১৩ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। ঈদের পরে চলবে ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন।
এ ছাড়া ঈদের দিন চলবে বাকি দুটি স্পেশাল ট্রেন। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও ২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ২।
ঈদ উপলক্ষে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যেতে পারবেন বলে গত ২৪ মে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেন, রেলে সাধারণ সময়ে ২ লাখ ৬০ হাজার জন যাত্রী চলাচল করতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ তিন লাখ মানুষ আশা যাওয়া করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।