বাঘারপাড়ায় শারদীয় দূর্গা পুজায় ৮৪টি মন্দিরে ব্যপক প্রস্তুতি

0
524

অনুপম দে,বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : শরৎতের কাশফুলের শুভ্রতা স্মরণ করে দেয় দূর্গতিনাশিনী দেবীর আগমনী বার্তা । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বার মাসে তের পার্বনের মধ্যে অন্যতম শারদীয় দূর্গা উৎসব। শঙ্খ, উলুধ্বণি আর চন্ডীপাঠের মধ্যে দশভুজা দেবীর আরাধনা করে ; দেবীকে বরন করে নেয়া হয় । মানবজাতির মঙ্গল কামনায় এবং সকল অশুভ শক্তি নাশ করতে দেবী দূর্গার পুজা করা হয় । মানবজাতির আসুরিক শক্তির বিনাশ আর পার্থিব শান্তি,কল্যাণ ও মঙ্গল কামনার জন্য বহুকাল হতে দেবীর বন্দনা করে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা । সাধারনত আশ্বিন মাসের শুকø পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত দূর্গাপুজা হয় । দেবী পক্ষের সুচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া: এই হিন্দুরা তর্পন করে তাদেরঁ পুর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । শারদীয়া দূর্গা পুজাকে অকালবোধন বলা হয়ে থাকে । এ শারদীয়া দূর্গা পুজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হলেও উৎসবটি সার্বজনীন। পুরাণ অনুসারে রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রক্ষা দেবী দূর্গার বোধন বা পুজা করেছিলেন । দেবী দূর্গাষষ্ঠীতে বোধন,আমন্ত্রণ ও অধিবাস- বিজয়াদশমীর পরে দেবী নিরজ্ঞন হয় । প্রাণ প্রতিষ্ঠা লাভ করে পুরোহিতের মাধ্যমে ষষ্ঠী পুজার দিন।পাচঁদিন ধরে হয় দেবীর পুজা। প্রতিবছর মহালয়ার দিন দেবী দূর্গা কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসেন। এবার দেবী দূর্গা আসছেন নৌকায় আর যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। এই দুর্গা পুজার প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা । প্রতিমা গড়ার মুল কাজ প্রায় শেষ হযেছে। প্রতিমায় রঙ তুলির শেষ আচঁড় দিয়ে চলছেন ভাস্কররা । আলোক সজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপ ও তার আঁশপাশে এলাকা । রায়পুরের ইউনিয়নের ভীম বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায এবার প্রতিমা তেরীতে খরচ প্রায় দ্বিগুন হবে। শ্রমিকের মুজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে ও সবজিনিষের দাম একটু তুলনামুলক বেশি । উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায় এ বছর বাঘারপাড়া উপজেলায় মোট ৮৪টি পুজা মন্ডপে শারদীয়া দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বাঘারপাড়া পৌরসভায় ৩টি,জহরপুর ইউনিয়নে ৭টি,বন্দবিলা ইউনিয়নে ৬টি ,রায়পুর ইউনিয়নে ৯টি, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৪টি,ধলগ্রাম ইউনিয়নে ১২টি, দোহাকুলা ইউনিয়নে ৫টি, দরাজহাট ইউনিয়নে ৮টি, বাসুয়াড়ী ইউনিয়নে ১০টি, জামদিয়া ইউনিয়নে ১০টি। বাঘারপাড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অরুন অধিকারী বলেন, “আমার উপজেলার জনগন শান্তিপ্রিয়। খুব বেশী সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুজা মন্ডপে প্রয়োজন হয়না। প্রতিবার সরকারি অনুদান পেয়ে থাকি এবার এখনো কোন সরকারি অনুদান পাইনি । তবে খুব তাড়াতাড়ি এঅনুদান পাওয়া যাবে ।প্রতিটা মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে যাতে সবাই নির্বিঘেœ পুজা দেখতে পারে এবং প্রশাসন এ ব্যপারে তৎপর থাকবে বলে আশা করি”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here