বিভাগ বাস্তবায়ন আধুনিক কুমিল্লার রূপকার আপোষহীন আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার

0
1635

মো:মনির হোসেন : আপোষহীন সত্যান্বেষী কথাটি যদি কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তিনি হলেন বাহাউদ্দীন বাহার। আধুনিক কুমিল্লার রূপকার তিনি। কুমিল্লা ৬ আসন তার দীর্ঘদিনের নেতৃত্বে বর্তমানে আওয়ামীলীগ এর ঘাটিতে পরিনত হয়েছে। কুমিল্লা সদর তথা কুমিল্লা ৬ আসন এর জনগন বাহাউদ্দীন বাহারকে তাদের নেতা হিসেবে চায়। আওয়ামীলীগ সভাপতী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনের এ দাবি মেনে নিয়ে বাহাউদ্দীন বাহার কে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় মনোনীত করে কুমিল্লার জনগনের দাবী পূরন করেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লার সদর আসনে প্রায় ৪০ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মহান জাতীয় সংসদে কুমিল্লাকে বিভাগ করার যৌক্তিকতাসহ কুমিল্লার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি মহান জাতীয় সংসদের একাধিক অধিবেশনে কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবী তুলে বক্তব্য রেখে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। মন্ত্রিসভায় কুমিল্লাকে বিভাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় জেলা নিয়ে কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ৪ মার্চ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লাকে বিভাগ করার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ১৯৫৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন (পূর্ব পাকিস্তান) কুমিল্লা মুন্সেফবাড়ী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন। তিনি শুধু কুমিল্লার রাজনীতিবিদ নন, তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়ে সাফল্যের সহিত ন্যায়-নীতি ভাবে দায়িত্ব পালনসহ কুমিল্লা নগরীর উন্নয়ন করায় হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারকে কুমিল্লা-৬ আসনের জনগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য মনোনিত করেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী বাহার ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা সদর এলাকার ভোটারদের সিক্ত ভালোবাসায় বিপুল ভোট পেয়ে প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য হয়ে মর্যাদা লাভ করেন।
কুমিল্লার গর্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কুমিল্লা সদর এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিং প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেন। হাজী বাহার এমপি’কে পুনরায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা দলীয় প্রতীক “নৌকা” উপহার দেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সংসদ নির্বাচন করেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী বাহার। একদিকে ভোটারদের জনপ্রিয়তা অন্যদিকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীগ হতে প্রথম কুমিল্লা সদর আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কুমিল্লা সদরের ব্যাপক উন্নয়ন করায়- দ্বিতীয় বার (২০১৪) সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জাতীয় সংসদ সদস্যপদ লাভ করেন হাজী বাহার। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নিবার্চনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে হ্যাট্রিক করে কুমিল্লা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কুমিল্লা টাউন হল মাঠ থেকে কুমিল্লা সদর আসনের নির্বাচনী ফলাফল প্রচার করা হয়। এসময় আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ উৎসব করা হয়। বিভিন্নকেন্দ্র থেকে নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করে ফলাফল নিয়ে কুমিল্লা টাউন হলে আসেন।
কুমিল্লা নগরীসহ সদর এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিষয়ে হাজী বাহার এমপি জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগও নেন। কুমিল্লার জনগণের ভোটে দ্বিতীয় বার হাজী বাহার সংসদ সদস্য হয়ে কুমিল্লা সদরের যে উন্নয়ন করেছেন তা ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে। বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি সর্বদাই কুমিল্লার মানুষের কথা ভেবে সদর এলাকার উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছেন। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি হাজী বাহার এমপি যেসব ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন- হত-দরিদ্রভাতা, মসজিদ-মুক্তবে অনুদান, কালভার্ট নির্মাণ, পুরাতনরাস্তা সংস্কার ও নতুন করে রাস্তা নির্মাণ, কৃষি খাতের উন্নয়ন, প্রাইমারী-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেধাবী সূর্য সন্তানদের উপবৃত্তি, যুদ্ধাহত, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-পরিবারের সদস্যদের সম্মামনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের ভবন নির্মাণ, নারী ও শিশুর ক্ষেত্রে উন্নয়ন, বৈদাশিক মান রক্ষা, কুমিল্লা আদালত ভবন নির্মাণ, শাসনগাছায় বেসরকারি মহিলা কলেজ ভবন নির্মাণ, টিক্কাচর গোমতী নদীর ব্রীজ নির্মাণ,কুমিল্লা ফ্লাই ওভার নির্মাণ, গ্রামীণ উন্নয়নসহ প্রায় হাজারেরও বেশি বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন মূলক ভূমিকা রেখেছেন।
হাজী বাহার এমপি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রুপকার বলে জানা যায়। কুমিল্লার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায়-জননেত্রী শেখ হাছিনা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারকে ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে টানা ৩য় বার দলীয় প্রার্থী (নৌকা) হিসেবে নির্বাচিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্তাবাজন হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য হন বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাছিনার আস্তাবাজন নেতা কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পর হতে বর্তমান সময়েও কুমিল্লার ব্যাপক উন্নয়ন চলমান রেখেছেন। তিনি সর্বদা মাদক, সন্ত্রাস ও চোরাকারবারীদের প্রতিহত করে আসছেন। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে যে সকল ওয়াদা করেছিলেন তা তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি তার কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য রাখতে চান না। কুমিল্লাবাসীর উন্নয়নে তিনি তার কাজের বাস্তবায়ন করেন।তাইতো তাকে আপোষহীন সত্যান্বেষী বলা হয়। ন্যায় এর সাথে সখ্যতা এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বাহাউদ্দীন বাহারকে জনগনের কাছে পৌছাতে সাহায্য করেছে। বাহাউদ্দীন বাহার সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং তিনি দুর্নীতি মুক্ত কুমিল্লা তথা বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। কুমিল্লা শহরের চাঁদাবাজি বন্ধ করে তিনি জনমানুষের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছেন।
আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লার প্রতি অবিচার নয়, কুমিল্লা নামেই বিভাগ হোক বাংলাদেশের সকল বিভাগের নাম ঐ বিভাগের যে সদর দপ্তর থাকে সেই জেলার নামে হয়েছে। যেমন ঢাকা বিভাগের নাম ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগের নাম চট্টগ্রাম বিভাগ, রাজশাহী বিভাগের নাম রাজশাহী বিভাগ, বরিশাল বিভাগের নাম বরিশাল বিভাগ, সিলেট বিভাগের নাম সিলেট বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগের নাম ময়মনসিংহ বিভাগ। কুমিল্লার নামে বিভাগ না হলে কুমিল্লার এক কোটি মানুষের সাথে অবিচার করা হবে। তারপরও বলবো কুমিল্লার মানুষের প্রতি অবিচার না করে কুমিল্লা বিভাগের নাম কুমিল্লা বিভাগই করার জন্য। আমরা তো পার্লামেন্টে দাড়িয়ে বিভাগের দাবি উত্থাপন করেছি। এটা কুমিল্লার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি। এটা কোন বড় দাবি নয়। এক দেড়শ’ বছর আগে আমরা রাজধানীর লোকই ছিলাম। ত্রিপুরার রাজধানী ছিল কুমিল্লা এক সময়। তিনি বলেন, বিভাগতো হচ্ছে জনগণের সেবা বৃদ্ধি করার জন্য। সিলেট বিভাগে এক কোটি লোক আর কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর মিলিয়ে এক কোটি বিশ লাখ লোক। যদি আমাদের সাথে কুমিল্লা বিভাগ নামের কারণে না আসতে চায় তাহলে আমাদেরকে একাই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা করতে পারে। কুমিল্লা ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এই তিন জেলা নিয়ে একটা বিভাগ হতে পারে। তিনি বলেন, আমি যখন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম তখন কুমিল্লার সর্বদলীয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে। সে আন্দোলনের সময় বিভাগীয় আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০১৫ সালের ১৩ জুন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন হলে কুমিল্লা বিভাগের নাম কুমিল্লাই থাকবে।
এদিকে গত ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ কুমিল্লা স্টেডিয়াম মাঠে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নাগরিক সংবর্ধনাকে ঘিরে কুমিল্লাজুড়ে উৎসবের আমেজ ছিল। কুমিল্লা সদর আসন ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিল বিএনপিসহ অন্যান্য দলের দখলে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামীলীগ ও মহাজোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। কুমিল্লার মাটি ও মানুষের সাথে যার সম্পর্ক। স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন এই মানুষটি কুমিল্লা পৌরসভার ছিলেন ২ বারের চেয়ারম্যান। ফলে কুমিল্লর সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের রয়েছে নিবীড় সম্পর্ক। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তীতে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এক অনন্য নজীর সৃষ্টি করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় যেন তিনি একটি পরিপূর্ণ মানুষ। যার প্রতিফলন এই নাগরিক সবর্ধনা। পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় কুমিল্লাবাসী নাগরিক কমিটির ব্যানারে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এ সংবর্ধনা প্রদান করছে। সংবর্ধনাকে ঘিরে কুমিল্লা জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ ছিল। কুমিল্লার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শতস্ফূর্তভাবে এ সংবর্ধনায় নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। ২৭ জানুয়ারি এ সংবর্ধনাকে ঘিরে বিশাল উদ্যোগ ও বণ্যাঢ্য আয়োজন করছে নাগরিক সংবর্ধনা পর্ষদ। কুমিল্লা নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো ছিল। এমপি বাহারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে উদযাপন কমিটির আহবায়ক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসার মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, এ সংবর্ধনা কুমিল্লার মানুষের আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ঠিকাদার ফোরামের সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, আপোষহীন সত্যান্বেষী কথাটি যদি কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তিনি হলেন বাহাউদ্দীন বাহার। আধুনিক কুমিল্লার রূপকার তিনি। কারণ কুমিল্লার মানুষ ভালো আর মন্দের পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছে। সন্ত্রাসের দল, যুদ্ধাপরাধীদের দলের সাথে কুমিল্লার মানুষ হাটে না। গত ১০ বছরে কুমিল্লায় যে উন্নয়ন হয়েছে, স্বাধীনতার পরে ৩০ বছরেও এরকম উন্নয়ন হয়নি। কুমিল্লা এখন বাংলাদেশের মধ্যে অনেক কিছুতেই এগিয়ে আছে যেমন রেমিট্যান্স, খাদ্য উৎপাদন ইত্যাদি।
এদিকে কুমিল্লার জনগনের মনে করেন ২০১৫সালে বিএনপি-জামাত পেট্রোলবোমা মেরে বহু মানুষ হত্যা করেছে। মানুষের শান্তি বিঘ্ন করতে চেয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার পূবালী চত্বরে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার একটি অনুষ্ঠানে বলেছন,আমার কুমিল্লার মানুষ উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। তারা অগ্নিসন্ত্রাস চায় না, পেট্রোলবোমা চায় না। আর সে কারণেই আজ কুমিল্লায় নৌকা মার্কার স্লোগানে স্লোগানে জনগণ সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ ধারা বজায় থাকুক। তিনি বলেন, কিছু মানুষ এখন ঠেকাও বাহার রাজনীতি চলছে। ১৯৮৪ সাল থেকেই এই ঠেকাও বাহার রাজনীতি আমি মোকাবেলা করে আসছি। আমার রাজনৈতিক পথ কথনো মসৃন ছিলনা। সেই ছাত্র জীবন থেকেই এই রাজনীতির মাঠে অনেক চড়াই উৎরাই মোকাবেলার মধ্যদিয়ে আমি চলছি।
সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই ২০১৮ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের ছেলে আসিব খানের সাথে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেজো মেয়ে আইমান বাহার সোনালীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষে দু’পরিবারের ঘনিষ্টজনরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবদম্পতির জন্য দোয়া করেন। সৌজন্য সাক্ষাতের পরে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহানগর কমিটি দিয়ে আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন,তাই আমিও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসটি নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নির্মাণাধীন অফিসটির ছবি দেখালে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত হন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে কুমিল্লা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক ও জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনাকে কাছে নিয়ে টেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাকে ছোটকালে কোলে নিয়েছি, তোমার কি মনে আছে? পরে প্রধানমন্ত্রী তাহসিন বাহার সূচনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাও। সাক্ষাতের পরে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা বলে ছিলেন, এই মুহূর্তে যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে, এখন পর্যন্ত আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে আনন্দময় বা সৌভাগ্যের ব্যাপার কী ? আমি বলবো বঙ্গবন্ধু কন্যার সান্নিধ্য ।
শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে পরিণত বয়সে আমি প্রধানমন্ত্রীকে যতই দেখছি, মুগ্ধ হচ্ছি । আমি শ্রদ্ধাবনত তাঁর সততা , দৃঢ়তা, সাহসিকতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের কাছে । আজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মাননীয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা ,গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে আমার মুগ্ধতা আরো শত শতগুণ বেড়ে গেছে। উনার সিম্পিøøসিটি , ব্যক্তিত্ব আর মমত্ববোধ আমাকে এক অন্য রকম ঘোরে নিয়ে গেছে। এই ৪৫ মিনিট আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হয়ে থাকবে ।
লেখক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সভাপতি,লেখক সাংবাদিক ফোরাম কুমিল্লা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here