নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দিগদানা গ্রামের রুবেল নামে এক যুবক প্রেমিকার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জীবন হারাতে বসেছিল।
আজ রবিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রুবেলের বড় ভাই আব্দুল আলিম এ অভিযোগ করেন।
আব্দুল আলিম জানান, তার ছোট ভাই রুবেল সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। রুবেলের সাথে পাশের গ্রামের সাটশিয়া গ্রামের আজিজ মল্লিকের মেয়ে ইমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ছিল। রুবেল একজন ভাল ফুটবল খেলোয়াড়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা শেষে রুবেল সন্ধ্যার সময় বাড়িতে ফেরে। এ সময় ইমা রুবেলকে মোবাইলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার ও দেখা করার কথা বলে। ইমা বাড়ি থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশে রুবেলের জন্য অপেক্ষা করছিল। ইমার বাবা আজিজ মল্লিক রাস্তার পাশে আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিল। রুবেলকে দেখার পর তার ওপর হামলা করে। ইমার চাচা আজিজ মাস্টার ও অন্যরা মিলে রুবেলকে বাড়িতে নিয়ে ধানের গুদামঘরে আটকে রাখে। এরপর রুবেলের শরীরে আয়রনের হিট, বিদ্যুৎ শকসহ অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে রুবেলকে তারা রাস্তার ওপর রেখে গেলে টহল পুলিশ তাকে ঝিকরগাছার আমিনুরের ক্লিনিকে ভর্তি করে । তারপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় মামলা করা হয়। এখন আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়-ভীতি সহ হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রুবেল, তার মা ময়না বেগম, মামা ইউসুফ আলী গাজী ও খালাতো ভাই মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।