যশোর কারাগারে আটক বন্দির পরিবারের কাছে লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রের ফোন

0
441

স্টাফ রিপোর্টার : যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি এক আসামির আশু চিকিৎসার কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। পরে বন্দি ব্যক্তির পরিবার পুলিশের শরণাপন্ন হলে প্রতারক চক্র বিষয়টি চেপে যায়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর সদরের চাঁদপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী রকিবউদ্দিন চাঁদপাড়া দারুল উলুম খাদেমুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষক। ওই মাদরাসার সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল তার স্বামীর নামে যৌনপীড়নের মিথ্যা অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা (নম্বর ৭৯/২৯.১০.১৯) করে। এ মামলায় তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ০১৭৮৭ ৪৩১৯০৬ নম্বর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনে কল দিয়ে জানায়- রকিবের হার্ট ব্লক হয়ে গেছে। তার হার্টের ৯০ ভাগ নিষ্ক্রিয়। ২৫ মিনিটের মধ্যে রিং না পরালে তিনি মারা যাবেন। তাকে কারাগার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডা. প্রফেসর শহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তার রিং পরানো হবে। কিছুক্ষণ পরে ডা. সাহেব আপনাকে ফোন দেবেন। আপনি বিস্তারিত তার কাছ থেকে জেনে নেবেন। তবে, আপাতত বিকাশে ১ লাখ টাকা দেন। বাদবাকি পরে দিলে হবে। এর ১০ মিনিট পরে ০১৮২৫ ০২৮২৮৮ নম্বর থেকে ফের আরেকটা কল আসে। ফোনদাতা নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বলে, ‘এখনই টাকা দেন। না হলে আপনার স্বামীকে বাঁচানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘পরে আমি এ ঘটনা কোতোয়ালি পুলিশকে জানাই। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। ‘
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার এসআই শারমিন আক্তার বলেন, ‘রকিব উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম আমার কাছে এই অভিযোগটি করেছেন। তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, এটি কোনো প্রতারক চক্রের কাজ। টাকা দিতে নিষেধ করেছি। ‘
কোতোয়ালি থানার অপর এসআই মাহবুব আলম বলেন, ‘এই ঘটনা শোনার পরে ওই চক্রের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর চাইলে চক্রটি বুঝতে পেরে দুটি নাম্বারই বন্ধ করে দিয়েছে। ‘
এই প্রতিবেদকও বার বার ওই দুই নাম্বারে কল দেন। কিন্তু ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলর আবু তালেব এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রকিব উদ্দিনের শারিরীক অবস্থা ভালো আছে। তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারেই আছেন। তার স্ত্রীর কাছে কল দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়টি কোনো প্রতারক চক্রের কাজ হতে পারে। এই চক্র ইতিপূর্বেও কারাগারে বন্দিদের নামে একাধিকবার টাকা নিয়েছে। এই চক্রটাকে ধরা দরকার।