যশোর বড় বাজার আবাসিক হোটেল পলাশে মামা ভাগ্নে অসামাজিক ব্যবসা এখন তুঙ্গে

0
2669

বিশেষ প্রতিনিধি : খোদ শহরের হাটখোলা রোডস্থ বাবু বাজারস্থ পতিতালয়ের সংলগ্ন আবাসিক হোটেল পলাশে মামা ভাগ্নে চুকিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাব,পুলিশের সব ক’টি ইউনিটের সাথে যোগসাজস করে অবাধে দেহ ব্যবসা চালানোর ফলে উঠতি বয়সের যুবকেরা অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যশোর বড় বাজারস্থ হাটখোলা রোডস্থ বাবু বাজার সংলগ্ন বাবু বাজার পতিতালয়ের উত্তর পাশে গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল পলাশ। উক্ত হোটেলের মালিক তার আবাসিক হোটেলে হেদায়েতকে ম্যানেজার ও হেদায়েতের ভাগ্নেকে বয় বানিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চুকিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা টার্গেট নিয়ে অর্থলোভী হেদায়েত ও তার ভাগ্নেকে দিয়ে কাজের ঝিঁ’র নামে বিভিন্ন বয়সের নারীদের তোলে কাক ডাকা ভোরে। সপ্তাহে পরিবর্তন করে কাজের ঝিঁ তুলে অবাধে চালায় দেহ ব্যবসা। সূত্রগুলো বলেছে,হেদায়েত উচ্চস্বরে বলাবলি করে সদর পুলিশ ফাঁড়ির সাথে তার রয়ে মোটা অংকের চুক্তি। সদর ফাঁড়ির অধীনে সে অবৈধ ব্যবসা চালালে তাকে কে ঠেকায়। সে আরো বলাবলি করে র‌্যাব,ডিবি পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাথে তার রয়েছে তার মাসিক চুক্তি। চুক্তি থাকার কারনে তার হোটেলে অভিযান চালানো হয়না। হেদায়েত তার ভাগ্নে বয়কে দিয়ে অবাধে দেহব্যবসা চালানোর ফলে যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা অসাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে দিনদিন অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছে,হেদায়েত উক্ত হোটেলে মাদক সেবনকারীদের জন্য ফেনসিডিল,ইয়াবা,মদ ও তাঁড়ীর ব্যবস্থা করে। গোটা যশোর শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মাদক সেবনকারীদের সাথে হেদায়েতের রয়েছে মোবাইলে যোগাযোগ। মোবাইলের মাধ্যমে হেদায়েতের সাথে মাদক সেবনকারীরা যোগাযোগ করে চাহিদা মোতাবেক পতিতা তুলে এক ব্যবসার ফাঁদ পাতে। বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষ করলেও হেদায়েত ও হোটেল মালিকের কারণে কিছু বলতে সাহস পায়না।ম্যানেজার হেদায়েত আবাসিক হোটেলে বোর্ডারের অজুহাতে বিভিন্ন বয়সের খরিদ্দার তুলে তাদের কাছে নারী সরবরাহ করে। ঘন্টা ব্যাপী নূন্যতম ৩শ’ থেকে হাজার টাকার অধিক টেনে নেয়। তাই অবিলম্বে উক্ত আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানোর জোর দাবি জানিয়েছেন আশ পাশের বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা। তারা বাজারের ঐহিত্য ফিরিয়ে আনতে সচেতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here