যশোর সিটি কলেজর মধ্যো থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ সাথীকে জীবিত উদ্ধার !

0
361

বিশেষ প্রতিনিধি : যশোর চৌগাছা উপজেলার নায়ড়া গ্রামের সাথী খাতুন নামে এক গৃহবধূর ট্রাভেল্স ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার ও আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমের দাফনের ১১ দিনের মাথায় পুলিশ উক্ত নারীকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি পুলিশ চৌগাছা এবং সাংবাদিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। যশোর কোতয়ালী থানার এসআই ও পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিরুজ্জামান সহ একদল পুলিশ উক্ত সাথীকে উদ্ধার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পরকীয়ার জের ধরে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে থাকা ওই গৃহবধূকে রোববার ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে যশোর সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের জলকর গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সাথী খাতুন চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলা চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামালের স্ত্রী। তাদের এহসান নামে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী সংসার ফেলে গত ১৪ জুলাই তিনি প্রেমিক চাঁদপাড়া গ্রামের (স্বামীর প্রতিবেশী) মান্নুর সাথে পালিয়ে জলকর গ্রামে অবস্থান করছিলেন। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিরুজ্জামান আরো জানান, গত ১৪ জুলাই সাথী বাইরে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে বিকালে ফিরে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান ছিল না সাথীর স্বামী ও পিতার বাড়ির কাহারও কাছে। এদিকে, গত ২৯ আগস্ট রাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজ এলাকার সিটি কলেজের গেটের ভিতর পুকুরের মধ্যে থেকে ট্রাভেল্স ব্যাগের মধ্যে থাকা পলিথিন মোড়ানো এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । লাশের পরনে একটি গোলাপী রং এর পেডিকোট এবং সাদা রং এর একটি ব্রা ছিল। তার ধারনা ৩/৪ দিন হবে মরদেহটি ব্যাগের মধ্যে পুরে ডোবার পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশ পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এলাকার লোকজন দেখে চিনতে পারেন নি। ফলে ধারনা করা হচ্ছে। বাইরে থেতে হত্যা করে ব্যাগের মধ্যে করে এসে সিটি কলেজের মধ্যে ওই ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে । পরদিন ৩০ আগস্ট চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজেদ আলী লাশটি তার নিখোঁজ মেয়ে সাখী বলে সনাক্ত করে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আছাদুজ্জামান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্তে নামে। এরই মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিরুজ্জামান গোপন সূত্রে জানতে পারে চৌগাছা গ্রামের আমজাদ আলীর মেয়ে সাথী হত্যাকা-ের শিকার হয়নি। তিনি জীবিত আছেন এবং প্রেমিক মান্নুর ধর্ম পিতা যশোর সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের জলকার গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি অবস্থান করছেন। এসআই আমিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সাথীকে উদ্ধারে ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে। সাথী পুলিশকে জানিয়েছে পুলিশ ও এলাকাবাসীর চোখ ফাঁকি দিতে এই হত্যার নাটক সাজানো হয় ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here