নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের লোহাগড়ায় ধর্ষণের শিকার এক বিধবা ৭ মাসের অন্তসত্ব মহিলা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এজাহার ভুক্ত একজন আসামী আটক হলেও ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রায় গ্রামের অনিল বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি পুস্প রানীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে অনিল বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যায়। স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটের ওপরে টিনের ঝুপড়ি ঘরে পুস্প রানী বিশ্বাস (৪২) তার দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে দিন মজুর ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করে আসছিলেন।
বিগত ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রতিবেশী জাফর মোল্যার নির্মাণাধীন বাড়িতে দিন মজুর হিসেবে কাজে যান পুস্প রানী বিশ্বাস। বাড়ির কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা জাফর মোল্যার শ্যালক একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মীনার ছেলে ইমদাদুল মিনা একাকী পেয়ে বিধাব পুষ্প রানীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পুস্প লোকলজ্জা ও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে গর্ভের অনাগত সন্তান দিন দিন বড় হতে থাকে। পুষ্পের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পেলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে বিষয়টি প্রতিবেশী মহিলাদের কাছে বলেন। এ নিয়ে গ্রামে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ধর্ষিতা মামলা দিতে সক্ষম হয়। মামলার আসামীরা হলো একই গ্রামের ইমদাদুল মিনা, তরিকুল মিনা ও মো. জাফর মোল্যা। মামলা নং- ২০, তারিখ- ১৭.০২.১৯ইং। এ ঘটনায় ধর্ষকের দুলাভাই মো. জাফর মোল্যাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। অপর আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।